খুলনায় অনুষ্ঠিত ‘আইনগত দক্ষতা ও পেশাগত নৈতিকতা এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে খুলনা বয়রাস্থ নুরনগর বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক।
বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সভাপতি ডাঃ মোঃ মনজুর কাদিরের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সদস্য ও প্রাক্তন সভাপতি ডা: আব্দুর রউফ মোল্লা; বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, খুলনার পরিচালক ডা: মোঃ লুৎফর রহমান; বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সদস্য ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডাঃ খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার শাহজাহান; প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাক্তণ উপ-পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান; বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, আইএলএসটি, খুলনার পরিচালক ডা: নূরুল্লাহ মোঃ আহসান প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পুলিশ কমিশনার বলেন, ১৯৭৩ সালে ১৩ই ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রথম বারের মতো কৃষিবিদদের সম্মানিত করেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন দেশটি এগিয়ে নিতে হলে কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লবের মাধ্যমে খাদ্য এবং পুষ্টির চাহিদা-যোগানের সমন্বয় প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে কৃষি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। তাঁর সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে ভেটেরিনারিসহ লাইভস্টকদের পদোন্নতি বৈষম্য সমাধান করে বিভিন্ন গ্রেডে পদোন্নতি দিয়েছেন। বর্তমানে কৃষি, মৎস, দুগ্ধ, পোল্ট্রি শিল্পে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা অকল্পনীয়। ২০১০ সালে যে মাংস উৎপাদন ছিল বর্তমানে তার চার গুণ বেশি মাংস উৎপাদিত হয়।
তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালে সরকার কর্তৃক ভেটেরিনারি কাউন্সিলের কর্মক্ষেত্রে যে আইন প্রণয়ন হয়েছে তা কার্যকরী। এই আইনটি সম্পর্কে মৎস, দুগ্ধ, পোল্ট্রি শিল্প, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের সবার জানা দরকার। এই আইনের মাধ্যমে প্রাণীকুল এবং মানবকুলে এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধ করা প্রয়োজন।
খুলনা গেজেট/ এএজে / কেডি