যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে সরকার ও বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
বুধবার (৮ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব বলেন তিনি। এদিন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন এক ভারতীয় সাংবাদিক।
ওই সাংবাদিক শঙ্কা প্রকাশ করে জানান, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান সহিংসতাকে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উসকে দিতে পারে— এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাবনা জানতে চান তিনি।
তবে তার এ প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান বেদান্ত প্যাটেল।
বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী বিএনপির পক্ষে প্রশ্ন করলেও বেদান্ত প্যাটেল স্পষ্ট করে বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ও বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে ওয়াশিংটন।’
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলে আসছে। দেশের মানুষের স্বার্থে সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয় এ সংবাদ ব্রিফিংয়ে।
এছাড়া চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী গত সোমবার এক সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। তার এ বক্তব্য নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন তিনি। এসব হুমকির বিষয়টি বুধবার (৮ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ওঠে।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা। বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মীদের পাওয়া হুমকির মাত্রা ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? বাংলাদেশে কূটনীতিক মিশন ও দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বিষয়টিকে তিনি বড় পরিসরে বলতে চান। সেটি হচ্ছে, মার্কিন কূটনীতিক ও দূতাবাসের নিরাপত্তার বিষয়টি তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, এই ধরনের সহিংস বক্তব্য খুবই অসহযোগিতামূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। তারা আশা করেন, যেকোনো স্বাগতিক দেশের সরকার মার্কিন কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ প্রসঙ্গ ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন বেদান্ত প্যাটেল।
খুলনা গেজেট/এনএম