মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা ও জাটকা রক্ষা অভিযান পরিচালনায় তৎপর ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। সোমবার (৬ নভেম্বর) মোংলার পশুর নদীতে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোন।
মাছ ধরা ট্রলার যাতে জেলেপল্লী থেকে বের হতে না পারে সে দিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে কোস্ট গার্ড, পাশাপাশি জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানাভাবে প্রচারণা চালিয়ে সচেতন করছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তারেক আহমেদ জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এর এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় চোরাচালান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণসহ মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ইলিশ বাংলাদেশের একটি জাতীয় সম্পদ এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সম্পদের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের এ অমূল্য সম্পদ রক্ষার্থে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড কাজ করে যাচ্ছে। ১লা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত ০৮ মাস জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের এ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন বিগত বছরের ন্যায় সকল স্টেশন/আউটপোস্ট সমূহে জাটকা নিধন প্রতিরোধ অভিযান-২০২৩ উপলক্ষ্যে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া এবং নেসারাবাদে দুটি অস্থায়ী কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অবরোধ পরিস্থিতিতেও কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের আওতাধীন এলাকার নদী বন্দর সমূহে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অধিনস্থ সকল স্টেশন/আউটপোস্ট হতে নিজ নিজ এলাকা সমূহের লঞ্চ/খেয়া/ফেরি ঘাট সমূহে নিরাপত্তার জন্য টহল প্রদান এবং সন্দেহজনক ব্যক্তি ও বোট/নৌযান সমূহে তল্লাসী করা হচ্ছে।
১লা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত ০৮ মাস জাটকা সংরক্ষণে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি মৎস্য আহরণ, পরিবহন,মজুদ ও বাজারজাতকরণ এবং কেনা বেচা নিষিদ্ধ করতেও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রচারাভিযান অব্যাহত রাখা হবে।এছাড়াও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের দ্বায়িত্বাধীন উপকূলীয় ও নদী এলাকায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনায় কোস্ট গার্ডের টহল ২৪ ঘন্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে বলেও জানান কোষ্টগার্ডের এ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম