দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। বৃহষ্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, সহসভাপতি স্বপন কুমার শীল, বাসুদেব সিংহ, রঘুজিৎ গুহ, বিকাশ চন্দ্র দাস, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, বিশ্বরুপ সানা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশে বসবাসকারি হিন্দু, মুসিলম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সকলে অংশ নিয়েছিলো। হিন্দু মা ও বোনেরা অন্যদের সঙ্গে ধর্ষিত হয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে হিন্দুরাও ছিল। অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও হিন্দুরা অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও নিষ্পেষিত। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইস্তেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের পরিবর্তে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ১৯১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ, দেবোত্তর বোর্ড গঠন ও হিন্দু ফাউন্ডেশন বাস্তবায়নসহ সাতদফা দাবি বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলো। দুঃখের বিষয় গত সাড়ে ১৪ বছরেও আওয়ামী লীগ তাদের ইস্তেহার অনুযায়ী হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করেনি। এর ফলে হিন্দুদের জমি দখল, নাবালিকা মেয়েদের ফুসলিয়ে নিয়ে আইন বহির্ভুতভাবে ধর্মান্তরকরণ, হিন্দুদের উপর হামলা, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার ঘটনা চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। তাই আজ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ তিন দফা দাবিতে দেশব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে। আগামি সংসদীয় নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকার এসব দাবি না মানলে তারা বৃহত্তর কর্মসূচি নেবে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন।
খুলনা গেজেট/এনএম