খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল নিলামে অবিক্রিত মোস্তাফিজুর রহমান, ভিত্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি রুপি
  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

ডুমুরিয়ায় পলিতে ভরাট স্লুইস গেট, স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় নিষ্কাশন

 ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

ডুমুরিয়া সদরে মহিলা কলেজে ও আল্লারদান পাইকারি কাঁচা বাজারের পাশে অবস্থিত স্লুইস গেটের বাইরে পলি ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে উপজেলা চত্বর সহ কয়েকটি বিল। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমন ও সবজি চাষীরা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অনুরোধে জনদুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসছেন আল্লারদান পাইকারি কাঁচা বাজারের সত্ত্বাধিকারী জিএম আনিসুর রহমান। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপন করেছেন ৭টি সেচ পাম্প। যা বেশ কিছু দিন ধরে বিরামহীন ভাবে চলমান রয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে এর স্থায়ী সমাধান করা হবে।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় স্লুইস গেটের দায়িত্বে থাকা মৃন্ময় গোলদার ছোটবাবু , কৃষক আঃ সালাম সরদার , মিজানুর রহমান শেখ , আজিজুল ইসলাম সহ অনেকের সাথে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , উপজেলা পরিষদের নাকের ডগায় মহিলা ও আল্লারদান পাইকারি কাঁচা বাজারের পাশে অবস্থিত স্লুইস গেট দিয়ে উপজেলা চত্বর , জোয়ারে দক্ষিণ ও উত্তরবিল , গুটুদিয়া পশ্চিমপাড়া বিলসহ কয়েকটি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল।

সম্প্রতি ওই স্লুইস গেটের বাইরে পলি জমাট বেঁধে পানি নিষ্কাশনের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। কৃষকদের স্বার্থে বিল কমিটির উদ্যোগে বেশ কয়েকবার পলিএ অপসারণ করে এর স্থায়ী সমাধান হয়নি। চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে একদিকে তলিয়ে যাচ্ছে উপজেলা চত্বর অন্যদিকে আমন ধান চাষীরা রয়েছে দারুণ দূশ্চিন্তায়। ফলন্ত সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে সবজি চাষীরাও। তারা আরও বলেন,হাশেম আলী পাইকারি কাঁচা বাজার উচ্ছেদের পর আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীরা যখন দিশেহারা হয়ে পড়ে তখন তাদের অনুরোধে মহিলা কলেজের পিছনে খোলা জায়গায় জিএম আনিসুর রহমানের উদ্দোগে আল্লারদান পাইকারি কাঁচা বাজার গড়ে উঠে। যেখানে শত শত আড়ৎদার, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। অনুরূপভাবে জলাবদ্ধতার স্বীকার স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের অনুরোধে এগিয়ে আসেন তিনি। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে একাধিক শ্রমিক নিয়োগ করে পলি অপসারণ ও বেশ কিছু দিন ধরে পানি নিষ্কাশনের জন্য ওই স্লুইস গেটের উপর ৭টি সেচ পাম্প স্থাপন করে দিনরাত পানি সেচের মধ্যদিয়ে এ দূর্ভোগ লাঘব করা হচ্ছে। কিন্তু এটি তো স্থায়ী সমাধান নয় এমন প্রশ্ন করে স্থায়ী সমাধানের জন্য যথার্থ মহলের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। অন্যথায় পথে বসবে হাজার হাজার কৃষক।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুহাঃ হাসনাতুজ্জামান বলেন, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উর্ধ্বোতন মহলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অতি দ্রুত ভরাট স্লুইস গেটের খাল খনন করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আশীষ মোমতাজ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!