খুলনার দাকোপ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। শুধুমাত্র জনবল সংকটের কারনে কাঙ্খিত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা।
স্বাধীনতার পর থেকেই সরকারের তৃনমুল পর্যায়ে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে দিতে এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতালে রুপ নিয়েছে। ২০০৩ সালের সরকারি অনুমোদন পেলেও ২০০৭ সাল থেকে কায্যক্রম শুরু হয় ৫০ শয্যার।
এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দাকোপ উপজেলায় হলেও ভৌগোলিক অবস্থার আবস্হান গত দিক থেকে পাশ্ববর্তী উপজেলা রামপাল, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছ ও কয়রার রোগীরা রাস্তা ও নদী পথে এখানে স্বাস্থ্যসেবা দিতে চলে আাসে। যে কারণে মাসের অধিকাংশ দিনে রোগীর সংখ্যা কোনো কোন সময় ১শ থেকে দেড় শো ছাড়িয়ে যায়। তখন রোগীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বারান্দায় সহ খালি স্হানে আবস্হান নেয়।প্রঙ্গত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য যেখানে প্রর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জন বল না থাকায় কঠিন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা যায়, এখানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা পদে একজন আছে।জুনিয়র কন্সালটেন্ট পদের সংখ্যা ১০ জন সেখানে রয়েছে ৪ জন। মেডিকেল অফিসার ও সমমানের পদ সংখ্যা ৮টির স্থলে আছে ৩ জন । ডেন্টাল সার্জন একজন থাকার কথা থাকলে-ও পদ টি এখনো শুন্য রয়েছে। আরএমও পদটি এখনো শুন্য রয়েছে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসে ইউনানি মেডিকেল অফিসার পদে কোন ডাক্তার নেই। ইউনিয়ন ভিত্তিক একজন করে সহকারী সার্জন থাকার কথা থাকলে-ও ৯ টিতে, আছে ৭ জন। এস এস এন পদে ৩৪ জন আছে। তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী ৩৭ থাকবার কথা কিন্তু আছে ১৭ জন।চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ২২ জনের স্থলে আছে ৬জন। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারী ৪৪ জন থাকার কথা থাকলে-ও আছে ৩৫ জন। স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে থাকার কথা ২ জন, আছে ১জন।সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে ৮ জনের স্হলে ৭ আছে।
এব্যাপারে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পঃপঃ সুদীপ বালার সাথে কথা হলে তিনি খুলনা গেজেট প্রতিবেদককে বলেন, জনবল সংকট আছে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আল্টাসনো গ্রারাফি মেশিনটি অনেক দিন আকেজো হয়ে পড়ে ছিল। আমি যোগদান করার পর মেশিন টি মেরামত করেছি কিন্তু ছবি ভালো না আসায় রিপোর্ট করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া এক্সরে মেশিন টি ভালো আছে কিন্ত জন বল সংকটের কারণে। সেটা বন্ধ আছে। তবে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের নিকট সকল বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আমি মনে করি তারাতাড়ি একটা ব্যবস্থা নেবেন কতৃপক্ষ।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল