ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা ও মহানগর এর ব্যবস্থাপনায় গতকাল শুক্রবার (৪ আগষ্ট) নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে গত ২৮ জুলাই শুক্রবার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে মাদ্রাসা ছাত্র শহীদ রেজাউল করিম এর হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা সহ-সভাপতি মোঃ ফরহাদ মোল্লা।
মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুহা. মেহেদী হাসান মুন্নার সঞ্চালনায় মিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর সহ সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দীন, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য এইচ এম ইনামুল হাসান সাঈদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলার জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ সভাপতি মুহা. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আজকে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ অবহেলিত। প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের ছাত্ররা খুন ঘুম হয়। গত ২৮ জুলাই শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কথিত শান্তি সমাবেশে দু গ্রুপের সংঘর্ষে পথচারী যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করিম নিহত হয়।
তিনি আরও বলেন, হাফেজ: রেজাউল করিম এর হত্যাকারীদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, দেশকে স্বাধীন করার জন্য এ দেশের ছাত্রদের অবদান অপরিহার্য। স্বাধীন এই দেশে ছাত্র সমাজ এখনও পরাধীন। দেশে ছাত্রদের হত্যার বিচার এ দেশে হয় না। যদি রেজাউল করীম এর হত্যার বিচার না করা হয় তাহলে দেশের সকল ছাত্র সমাজকে নিয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নগর যুগ্ম-সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম নাসিব, নগর ছাত্র আন্দোলনের মোস্তফা আল গালিব, বনি আমিন, হাসিবুর রহমান শাকিল, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ, আতিক হাসান,আলম গাজী, শাকিল খলিফা, ইউসুফ গাজী, মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ হাসান, ওসামা আবরার, মাহবুবুল হক মিশকাত, ওসমান আলী, আল আমিন শেখ, আবু হানিফ, শেখ রাসেল, গাজী আমিনুর রহমান, সাব্বির হোসেন, রাকিবুল হাসান, তৌফিকুল ইসলাম রাজ, মোহাম্মদ ফাহিমুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে অফিস চত্বর থেকে মিছিল বের হয়ে পাওয়ার হাউজ মোড় ডাকবাংলা মোড় প্রদক্ষিণ করে ফেরিঘাট এসে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম