পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় নৌকা ডুবে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে তাজা খাবার ও মাছ বহন করা হচ্ছিল এবং ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই ছিল।
বুধবার (২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উগান্ডার ভিক্টোরিয়া হ্রদে ওভারলোডেড নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ২০ জন মারা গেছেন এবং পাঁচজন নিখোঁজ হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং সেসময় নৌকাটি কাঠকয়লা, তাজা খাবার এবং মাছ বহন করছিল।
আগে টুইটার নামে পরিচিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় পুলিশ জানিয়েছে, ‘ওভারলোডিং এবং খারাপ আবহাওয়ার জন্য নৌকাডুবির এই ঘটনা ঘটেছে।’
দুর্ঘটনার পর নয় যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ বলছে, ‘নৌপথে ভ্রমণের সময় সর্বদা লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে আমরা জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং একইসঙ্গে নৌযানগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বা পণ্যবোঝাই না করতেও পরামর্শ দিচ্ছি।’
আল জাজিরা বলছে, ভিক্টোরিয়া হ্রদ আফ্রিকার অন্যতম বৃহত্তম হ্রদ। এই হ্রদটি উগান্ডা, কেনিয়া এবং তানজানিয়ার মধ্যে অবস্থিত। এই লেকের আয়তন ৭০ হাজার বর্গ কিমি (২৭ হাজার বর্গ মাইল), যা মোটামুটি আয়ারল্যান্ডের আয়তনের সমান।
ডিম্বাকৃতির এই হ্রদে বছরের পর বছর ধরে অনেক নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে এবং দুর্ঘটনার জন্য প্রায় সময়ই অতিরিক্ত আরোহী নেওয়া এবং খারাপ আবহাওয়াকে দায়ী করা হয়ে থাকে।
এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভিক্টোরিয়া হ্রদে নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৩২ জন মারা গিয়েছিলেন। উগান্ডার পুলিশ সেই সময় বলেছিল, দুর্ঘটনাকবলিত ওই নৌকাটিতে ৯০ জনেরও বেশি আরোহী ছিল।
এছাড়া সেই বছরের সেপ্টেম্বরে ভিক্টোরিয়া হ্রদের তানজানিয়ার অংশে এমভি নাইরেরে নামে একটি যাত্রীবাহী ফেরি ডুবে গেলে শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল