যশোরের অভয়নগরে বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের মালামাল স্ক্র্যাপ (ভাঙারি) হিসেবে বিক্রি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মিলের সহ-ব্যবস্থাপক (কারি:) ও মিল ইনচার্জ মো. আতিকুর ইসলামের বিরুদ্ধে। রবিবার (৩০ জুলাই) সকালে মালামাল ভর্তি একটি ট্রাক মিলের গেট থেকে বের হওয়ার সময় এলাকাবাসী তা আটকে পুলিশে খবর দেয়।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ করপোরেশনের (বিটিএমসি) নিয়ন্ত্রণে থাকা মিলটি গোপাল চন্দ্র সাহা নামে এক ব্যবসায়ী ভাড়া নিয়ে সচল রেখেছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
মিলে কর্মরত প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, মো. আতিকুর ইসলাম স্যারের নির্দেশে রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ১ ও ২নং ইউনিটের স্টোররুম থেকে মিলের ব্যবহৃত মালামাল স্ক্র্যাপ হিসেবে (যশোর ট-১১-১২৯৭) ট্রাকে লোড দেওয়া হয়। যার মধ্যে ইলেকট্রিক মটরসহ বিভিন্ন দামি মালামাল ছিল। পরে এলাকাবাসী ট্রাকটি আটকে পুলিশে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে মিলের সহ-ব্যবস্থাপক (কারি:) ও মিল ইনচার্জ মো. আতিকুর ইসলাম জানান, এনায়েত হোসেন নামে বিটিএমসি’র এক প্রতিনিধি স্ক্র্যাপ হিসেবে বাতিল মালামাল নিতে আসেন। সকালে একটি ট্রাকে কিছু মালামাল লোড দেওয়া হয়। পরে বিটিএমসি’র অনুমতিপত্র না দেখালে মালামাল আটকে রাখা হয়। কাগজপত্র ছাড়া স্টোররুমের মালামাল ট্রাকে কিভাবে লোড দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
বিটিএমসি’র প্রতিনিধি পরিচয়ে মো. এনায়েত হোসেন জানান, তার বাবার নাম জুমায়েত হোসেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার পুরানাপল্টন এলাকায় থাকেন। স্থায়ী ঠিকানা খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার হালিয়া শিয়ালডাঙ্গা গ্রাম। স্ক্র্যাপ নেওয়ার বৈধ কাগজপত্র হেড অফিস থেকে না পাঠানোর কারণে এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। তবে বিটিএমসি’র কোন পদে আছে এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তিনি আর কথা বলেননি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইতোপূর্বে সহ-ব্যবস্থাপক (কারি:) ও মিল ইনচার্জ মো. আতিকুর ইসলাম মিলের বন্ধ থাকা ইউনিটের দামি দামি মালামাল সরিয়ে ফেলে বিক্রি করেছেন। বেশ কিছু ফলজ গাছও রাতের আঁধারে কেটে বিক্রি করেছেন। একজন অসাধু কর্মকর্তা তিনি। তার বিরুদ্ধে বিটিএমসি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মিলটি অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। কর্ম হারাবে শতশত শ্রমিক-কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে যশোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, খবর পেয়ে অভয়নগরের বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলে পৌঁছায়। বৈধ কাগজপত্র না পাওয়া পর্যন্ত মালামাল পুলিশ হেফাজতে রাখার হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
খুলনা গজেটে/ বিএম শহিদ