সাতক্ষীরায় ধর্ষন মামলায় এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। বুধবার (১৯ জুলাই)সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম,জি আযম এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামী পলাতক ছিল।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম মোঃ রবিউল ইসলাম (৪৫)। সে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের মোকছেদ আলী ঢালীর ছেলে।
মামলার বিবণে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাইনের ছেলে শফিকুল ইসলামের একটি মৎস্য ঘের ছিল। ঘেরে থাকাকালিন তার মেয়ে (১৮) বাবার জন্য খাবার নিয়ে যেতে। ঘেরে বাবার জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া আসার পথে একই গ্রামের মোকছেদ আলী ঢালীর ছেলে রবিউল ইসলামের তার উপর নজর পড়ে। এক পর্যায় ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসের কোন একদিন সন্ধ্যায় ঘেরে বাবার খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় মুসা মোল্যার বাড়ির কাছে পৌছালে রবিউল ইসলাম মেয়েটির মুখে ওড়না দিয়ে চেপে ধরে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। সেময় লোকলজ্জার ভয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাটি তার চেপে যায়। কিন্তু কয়েক মাস পরে মেয়েটি অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
এঘটনার পর ২০১০ সালের ২৯ জুন মেয়েটির বাবা শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে ধর্ষক রবিউল ইসলামকে আসামী করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপ পরিদর্শক মজিবর রহমান তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৩ আগষ্ট আসামী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রেরিত হলে বিচারক এম জি আযম মামলার প্রয়োজনীয় নথি ও ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পর্যালোচনা শেষে আসামী রবিউল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে, আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডঃ জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার রায় ঘোষনার সময় আসামী রবিউল ইসলাম পলাতক ছিল।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ