আইনী জটিলতা কাটিয়ে এক যুগ পর বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচন চলছে। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে ভোটার উপস্থিতি কমে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইনী জটিলতা কাটিয়ে এক যুগ পর বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১২টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে এ ভোটগ্রহণ চলছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের নাসির উদ্দিন। তিনি বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অপর প্রার্থী বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। তিনি মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া জগ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ফারুক হোসেন উজ্জ্বল শনিবার হঠাৎ করেই ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন। বেনাপোল পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৪৭ জন প্রার্থী ও সংরক্ষিত আসনে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও এখন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় অপ্রীতিকর কোন ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সব সময় উপস্থিত থাকবেন। বিপুল সংখ্যাক পুলিশ-আনসারের সঙ্গে তিন প্লাটুন র্যাব দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে ৩০ হাজার ৩৮৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৪৪ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ১৫ হাজার ৩৪১ জন। তাদের সমর্থনেই নতুন মেয়র নির্বাচিত হবেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পহেলা মার্চ বেনাপোল পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সেই নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তার মেয়াদ শেষ হলেও প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার সীমানা জটিলতা নিয়ে মামলার কারণে নির্বাচন আটকে ছিল।
খুলনা গেজেট/এসজেড