সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক কিশোরীকে অপহরণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে নূরুল আমীন নামের এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে, আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন। সে উপজেলার গয়ড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে।
সোমবার ( ১০ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এমজি আযম এক জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৭এপ্রিল গয়ড়া গ্রামের জনৈকা কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণ করে নূরুল আমীন নামের ওই যুবক। পরে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয় পড়ে। একপর্যায়ে নূরুল আমীন একই সালের ২৮ অক্টোবর কিশোরীকে অপহরণ করে পুড়িয়ে হত্যার পর তার মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে কলারোয়া সীমান্তের হিজলদী চেকপোস্টের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এদিকে অপহরণের ঘটনার পরের দিন ৮ এপ্রিল কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নূরুল আমীনসহ তাকে সহযোগীতা করার অভিযোগে আব্দুল জলিল, খলিলুর রহমান, রুহুল আমিন, রিপন হোসেন ও খায়রুল ইসলামকে আসামি করে কলারোয়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১০। তাং ০৮/০৪/২০১২। তবে কিশোরী নিহত হলে কলারোয়া থানার তৎকালিন এসআই গোলাম সরোয়ার ২০১৩ সালের ১৮ আগষ্ট সাতক্ষীরা আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে একটি সম্পুরক চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় পুলিশের দেয়া চার্জশীট ও ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে নূরুল আমীনকে ১০ বছর ও একই আইনের ৯/২ ধারায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে, আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) এ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড