খুলনার বাজারে ঢুকেছে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ। ফলে একদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে ৪০০ থেকে ৫০০। গতকাল রোববার কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। আজ সকাল থেকে বাজার এবং মরিচের মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে। দাম কম হওয়ায় মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
সোমবার (৩ জুলাই) নগরীর বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য মিলেছে।
খালিশপুর পৌরসুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, কাঁচা মরিচের মানভেদে দাম কমেছে। আজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি করছি।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, বাজারে ভারতীয় কাঁচা মরিচ এসেছে। এ জন্য দাম কমেছে। আজ সকাল থেকে ২০০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করছি। গতকালও (রোববার) কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি।
নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী কাজী সামসুদ্দীন বলেন, আমদানী করায় বাজারে অনেক কাঁচা মরিচ এসেছে। আমি ১২০ টাকা কেজি দরে ১৫ কেজি মরিচ কিনেছিলাম। বিক্রি করছি ১৬০ টাকা কেজিতে। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম নিচ্ছি ৪০ টাকা। গতকালও ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। দাম কম হওয়ায় ক্রেতাও বেড়েছে।
খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, কাঁচা মরিচের আমদানি হওয়ায় দাম কমেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আজ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করছেন।
নগরীর চিত্রালী বাজারে আসা পারভেজ আলম বলেন, আজ কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। প্রতি কেজি ২৫০ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় মানুষ ঝাল কিনতে পারছেন। তবে দাম আরও কমলে ভালো হয়।
খালিশপুর হাউজিং বাজারে আসা তসলিমা বেগম বলেন, কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। গতকালও ছিল ৬০০ টাকা কেজি। আজ ২০০ টাকা কেজি চাচ্ছে। শুনেছি ভারতীয় কাঁচা মরিচ এসেছে। আরও দাম কমবে।