ঈদের আনন্দে লাগামছাড়া খাওয়াদাওয়ায় হুট করে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন যে কেউ। তাই ঈদের সময় খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।
খাবারদাবার
ঈদে গুরুপাক খাবার খেলে কিংবা অনেক বেশি খাওয়া হয়ে গেলে অনেকেরই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কারও পেটে ব্যথা কিংবা ডায়রিয়াও হতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে। তা ছাড়া যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগে ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও চাই বাড়তি সতর্কতা।
অতিরিক্ত খাবার খাওয়া কারও জন্যই ভালো নয়
গরমে খাবার সহজে নষ্ট হয়ে যায়। তাই খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। রান্না করা খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে দ্রুত ফ্রিজে উঠিয়ে রাখুন। বাসি খাবার খাবেন না।
ঈদে প্রচুর পরিমাণে তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার ও লবণ খাওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই সতর্ক থাকুন। গরু, খাসি, ভেড়ার মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ এবং কিডনি রোগে আক্রান্তদের অবশ্যই সংযমী হতে হবে।
ডায়াবেটিসের রোগী যে মিষ্টান্ন একেবারেই খাবেন না, তা নয়, তবে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। তা ছাড়া ভাত, পোলাও, বিরিয়ানি, রুটি, এমনকি ফলমূলেও শর্করা রয়েছে। এগুলোও খেতে হবে পরিমিত।
পানি এবং পানীয়
বর্ষা চলে এলেও ঈদুল আজহার সময় বেশ গরম থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঈদগাহে নামাজ থেকে শুরু করে কোরবানির নানা কাজকর্ম কিংবা বাসায় রান্নাবান্নার সময় অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা। তাই এ সময় পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। কোমল পানীয় বা বাজারের জুসের চেয়ে পানি কিংবা ঘরে তৈরি ফলের জুস পান করা বেশি ভালো। তবে পানীয় তৈরির সময় অতিরিক্ত চিনি ও লবণ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
জেনে রাখা ভালো
ঈদের সময় হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলেও জরুরি বিভাগ বা ইমার্জেন্সি সব সময়ই খোলা থাকে। তাই অসুস্থ হলে, বিশেষত বয়স্ক ব্যক্তি, ছোট শিশু এবং যাঁদের ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ বা কিডনি রোগ আছে, তাঁদের দ্রুত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
খুলনা গেজেট/এনএম