খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ মাঘ, ১৪৩১ | ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বাংলাদেশের মতো তরুণ নেতৃত্বকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে, আর্থিক ও শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর আহবান: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ড. ইউনূস
  সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
  ইতালির রোম থেকে ছেড়ে আসা বিমানের একটি ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, নিরাপদে অবতরণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে

প্রাণ ফিরেছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে, বিকেলেই যাবে উৎপাদনে

গেজেট ডেস্ক

টানা ২০ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে উৎপাদনে ফিরছে পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। রোববার (২৫ জুন) ভোর থেকে একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় চালু হওয়ার কথা থাকলেও শিডিউলে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, আজ বিকেল ৩টা নাগাদ একটি ইউনিট উৎপাদনে যেতে পারবে।

ডলার সংকটে কয়লা আমদানি না হওয়ায় গত ২৫ মে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৫ জুন বন্ধ হয় দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন। নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকার যৌথভাবে ১০০ মিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হলে ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজে কয়লা উঠতে শুরু করে।

এরপর গত ২৩ জুন মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নোঙ্গর করে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আথেনা। জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করে রোববার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী এমভি অ্যাথেনা নামের একটি মাদার ভ্যাসেল প্রায় ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বন্দরের ইনার অ্যাংকরেজে এসে পৌঁছায়। জাহাজটি শুক্রবার বিকেলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নিয়ে আসা হয়। পরে সন্ধ্যার আগে থেকেই জাহাজ থেকে কয়লা আনলোড শুরু হয়।

শনিবার সকাল নাগাদ প্রায় বিশ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা হয়েছে। কয়লা আনলোডের মধ্য দিয়েই কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তত্ত্বাবাধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, কয়লা সংকটের কারণে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ কয়লা নিয়ে পায়রাবন্দরে এসেছে এবং কয়লা খালাস করা হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার চালু করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বিকেল নাগাদ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে কয়লাবাহী জাহাজ আরও আসতে থাকলে দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

উল্লেখ্য যে, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন অন্তত ১৩ হাজার টন কয়লা পোড়াতে হয়। এতোদিন যা ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করেছে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে বাকিতে কয়লা এনে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল রাখা হয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির দেনা প্রায় ৩৬ কোটি ডলার। বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সিএমসি।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান ৫০ শতাংশ করে অংশীদারত্ব রয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এসজেড/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!