গত এক বছরে শুধু রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের ১৩৬ শিশু নিহত হয়েছে। সামগ্রিভাবে যুদ্ধে মারা গেছে এখনও পর্যন্ত ৪৭৭ শিশু। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ। যদিও জতিসংঘের ওই রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
অন্যদিকে, এক বছরে ইউক্রেনের আক্রমণে রাশিয়ার ৮০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্যও জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে দূরপাল্লার রকেট ও বিমান হামলায়।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সামগ্রিভাবে যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৪৭৭ শিশু নিহত হয়েছে। আহত শিশুর সংখ্যা এর কয়েক গুণ বেশি। আহত শিশুদের অনেকেই এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তারা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। ফলে মৃত শিশুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভয়াবহ এই তথ্য নিয়ে ইতোমধ্যেই মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরব হয়েছে। কেন এত শিশুর মৃত্যু হবে, এ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে। কিন্তু, ইউক্রেন ও রাশিয়া কোনোপক্ষই এই বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মন্তব্য করেনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ইউক্রেনের মিসাইল রাশিয়া অধিকৃত খেরসন ও ক্রাইমিয়ার মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করেছে বলে জানা গেছে। রাশিয়া নিয়োজিত দুই অঞ্চলের প্রশাসনই এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে।
খেরসনে রাশিয়া নিযুক্ত গভর্নর বলেন, সেতুটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। গাড়ির চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সেতুটি মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।
রাশিয়ার দাবি, এই হামলায় স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। পরপর তিনটি মিসাইল গিয়ে আঘাত করে ওই সেতুতে। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
খেরসন ইউক্রেনের অংশ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই অঞ্চলে তীব্র লড়াই হয়েছে। শেষপর্যন্ত রাশিয়ার সেনা এই অঞ্চল দখল করে। ইউক্রেনের সেনা ওই অঞ্চলে ফের পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
অন্যদিকে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালিয়ে বেআইনিভাবে ক্রাইমিয়া দখল করেছিল। চোগার ব্রিজ খেরসনের সঙ্গে ক্রাইমিয়ার অন্যতম যোগসূত্র। সে কারণেই ওই ব্রিজটিকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম