কুমিলার চম্পকনগর এলাকায় সেনিটারি মিস্ত্রি রানা হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে।
রোববার (১৮ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মোট ১৬ জন আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস এবং ১২ জনকে দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় মোট ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এ পি পি রফিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০০৬ সালের ১মে রাতে চম্পকনগর এলাকার স্যানিটারি মিস্ত্রি রানাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী তদন্তে আরও ১০ জনকে আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দীর্ঘ ১৮ বছর মামলার চলমান তদন্তে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য আমলে নিয়ে এ রায় দেন বিচারক। রায়ে বিচারক সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ত্রিশ হাজার টাকা করে প্রতিজনকে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং চারজনকে বেকসুর খালাস দেন।
রায় প্রদানের সময় মোট নয়জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে তিনজন মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হাজির, তিনজন যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হাজির এবং বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত তিনজন হাজির ছিলেন। মৃত্যুদণ্ড ৪ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২ জনসহ মোট ছয় আসামি পলাতক রয়েছে।
এ রায়ে বাদী নিহত রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড