একটা সময় ছিল বাবাদের কঠোর শাসনে বড় হতো ছেলেমেয়েরা। সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা থাকলেও আবেগ প্রকাশ হতো ওই শাসনের মধ্য দিয়েই। গত কয়েক দশকে, এ অবস্থা অনেক পাল্টেছে। মায়ের মতো বাবাও হয়ে উঠেছেন সন্তানের বন্ধু। শুধু শাসন নয়, বাবারা সন্তানের প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশে আর রাখঢাক রাখছেন না। অন্যদিকে, সন্তানের বেড়ে ওঠায় বাবার ভূমিকার জন্য কেউ কেউ নিজের বাবাকে সুপারহিরো বলতেও কুণ্ঠাবোধ করছেন না।
জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্ব বাবা দিবস। এ দিনটি বাবাকে বিশেষ বোধ করানোর উপযুক্ত সময়। দিনটি বাবার জন্য প্রতিদিন ছোট ছোট কিছু করে তাকে বিশেষ মনে করিয়ে দেওয়ারও একটি উপলক্ষ হতে পারে। এতে বৃদ্ধ বয়সে তারা হয়তো সন্তানের কাছে নিজেদের অতিরিক্ত মনে করবেন না।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন : বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় দিন। সেটা হতে পারে সাধারণ ‘ধন্যবাদ’ বা আপনার জীবনে তার উপস্থিতির জন্য আন্তরিক প্রশংসা। তাকে জানতে দিন আপনি তাকে ও তার প্রচেষ্টাকে কতটা মূল্য দিয়েছেন।
একসঙ্গে সময় কাটান : আপনার বাবার সাথে প্রতিদিন কিছুটা সময় কাটান। এটি হতে পারে একসাথে খাবার খাওয়া, হাঁটতে যাওয়া, একটি প্রিয় শো দেখা বা এমন একটি শখ বা কাজ করা যা দুজনই উপভোগ করেন। মূল বিষয় হল বন্ধন বজায় রাখা এবং কথোপকথনের সুযোগ তৈরি করা।
কাজে সাহায্য করা : বাবার কাজে সহায়তার প্রস্তাব দিতে পারেন। এটা হতে পারে তাকে গৃহস্থালির কাজে সাহায্য করা কিংবা এমন কোনো কাজের দায়িত্ব নেওয়া যাতে তিনি খুশী হবেন। বাবাকে সাহায্য করার আগ্রহ তার প্রতি আপনার ভালোবাসা প্রকাশ পাবে।
মনোযোগ দিয়ে শুনুন : আপনার বাবা যখন তার চিন্তাভাবনা, অভিজ্ঞতা বা উদ্বেগের কথা শেয়ার করতে চান তখন মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তিনি যা বলতে চান তাতে আগ্রহ দেখান। পরে আপনার মতামত দেবেন। আপনার আগ্রহ প্রকাশের অভিব্যক্তিই বাবাকে খুশী করবে।
উদারতা প্রকাশ : বাবার জন্য কিছু কাজ করে তাকে অবাক করে দিন। সেটা হতে পারে তার জন্য প্রিয় কোনো খাবার বা পানীয় তৈরি। বাবার জন্য এমন বিশেষ কিছু করতে পারেন যার জন্য তিনি আপনার প্রশংসা করবেন। আপনার এমন ছোট ছোট কর্মকাণ্ডতেই বাবাকে বিশেষ বোধ করাবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
খুলনা গেজেট/এনএম