তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। আজ রোববার হবে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে কামাল কিলিচদারোগলুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই দু’জন থেকেই একজনকে বেছে নেবেন তুর্কিরা। খবর: ডয়চে ভেলে ও আলজাজিরা’র।
এরদোয়ানের বিপক্ষে কোনো দল এখন পর্যন্ত জয় পায়নি। ফলে রোববারের ভোটে কিলিচদারোগলু যদি জিততে পারেন, তুরস্কের ইতিহাসে নতুন করে লেখা হবে তাঁর নাম।
এবার তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে হলে যে কোনো প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পেতে হয়। কিন্তু প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। গত ১৪ মে প্রথম দফায় এরদোয়ান মোট ভোটের ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ পেয়েছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগলু পান ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। ফলে নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায়।
এদিকে সিনান ওগান ছিলেন তৃতীয় অবস্থানে। তিনি পান ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট। এরই মধ্যে এরদোয়ানকে সমর্থন দিয়েছেন সিনান। এতে এরদোয়ানের জেতার সম্ভাবনা বেড়েছে। সেই সঙ্গে কিলিচদারোগলুর চ্যালেঞ্জ আরও প্রকট হয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে প্রচারণায় এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীসহ বিরোধীরা শরণার্থীবিরোধী বক্তব্য বেশি দিয়েছেন। ফলে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থী। সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন দেশটিতে। কালকের ভোটের ফলের ওপরই নির্ভর করবে তাঁদের ভাগ্যে কী আছে।