সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দেড়শ’ বিঘা জমিতে লবণ পানি তুলে দেয়াতে সরকারের দেয়া পাট ফসল নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষকরা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা আদালতে পৃথকভাবে ৩টি মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা আদালতের আদেশ অমান্য করে ওই কৃষকের জমিতে স্থানীয় খাল থেকে লবণযুক্ত পানি তোলা অব্যাহত রেখেছেন।
সরেজমিনে সোমবার বিকেলে দেখা গেছে, উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের আব্দুল গফুর গাজী, আবুল কালাম খা, ছাদেক আলী গাজী, শামসুর রহমান গাজী, নজরুল ইসলাম শেখ, নজরুল ইসলাম দপ্তারী, আ: গফ্ফার গাজী, কামরুজ্জামান, তুহিন হোসেন, মফ্ফার মোড়ল দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে মানিকনগর মাঠে বেড়ি দিয়ে তাদের জমিতে মাছ চাষ করে আসছেন। এবার সরকার তাদের জমিতে পাট চাষের জন্য বীজ প্রদান করেন। কৃষকগণ খুশি হয়ে তাদের জমিতে পাট চাষ করেন। কিন্তু পাট হাত খানিক লম্বা হলে ওই মাছচাষীরা পরিকল্পিতভাবে জমিতে লবণ পানি দিয়ে ডুবিয়ে দেয়। এতে করে পাট সব মরে যায়।
কৃষকরা প্রতিবাদ জানালে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। ন্যায় বিচার পাওয়ার আসায় কৃষকরা আদালতে মামলা করেন।
এদিকে কৃষক ফজলে রহমান খান বলেন, ওই মাঠে তার ৭.৫৩৫ শতক জমি আছে। সেই জমিতে তারা স্থানীয় খাল থেকে নোনা পানি তুলে দিয়ে পাট ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। তিনি এ ঘটনায় গত ৯ মে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। যার মামলা নং-পি-৯৮৭/২৩।
কৃষক ছবুর মোল্যা জানান, তার মানিকনগর মাঠে ৪০.২৯২ শতক জমি আছে। তিনি সরকারের দেয়া পাট বীজ ওই জমিতে লাগান। পাট কিছুটা বড় হলে নজরুল ইসলাম দপ্তারী, আ: গফ্ফার গাজী খালের লবণ পানি তুলে দিয়ে মাঠের পাট নষ্ট করে দেয়। তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার আসায় গত ৯ মে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা করেছেন। যার মামলা নং-পি-৯৮৯/২৩।
কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, মানিকনগর মাঠে তার ৩২.৯২৮ শতক চাষের জমি আছে। তিনি এবার ওই জমিতে সরকারের দেয়া বীজ পাট চাষ করেন। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে ওই গ্রামের আ: গফুর গাজী, আবুল কালাম খাঁ, ছাদেক আলী গাজী ও নজরুল ইসলাম দলবদ্ধ হয়ে খালের নোনা পানি মাঠে দিয়ে ডুবিলে দেয়। এতে করে তার মাঠে লাগানো পাট সব মরে যায়। তিনি প্রতিবাদ করাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি সোটা নিয়ে কৃষক এর উপর হামলা করে। এর ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য তিনি গত ৯ মে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-পি-৯৮৬/২৩।
খুলনা গেজেট/এনএম