ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। বিশ্রামের অন্তরালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয় তাকে। আইরিশদের বিপক্ষে ফিরতি সিরিজেও তিনি দলে নেই। স্বভাবতই ক্রিকেট পাড়ায় প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি দেশের ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অধ্যায় শেষ হতে চলেছে?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহকে একপ্রকার অনানুষ্ঠানিক বিদায় বলে দিয়েছে বিসিবি। এ কয়দিনে জাতীয় দলে তার জায়গা চলে গেছে অন্যের দখলে। বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছেন মাহমুদউল্লাহ নিজেও। তাই জাতীয় দল পর্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। আগামী জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় হোম সিরিজের জন্য দল নির্বাচন প্রক্রিয়ার ভেতরেও থাকছেন না। তামিম ইকবালরা যখন দেশে খেলবেন, রিয়াদ তখন সৌদি আরবে হজ পালন করবেন।
আইরিশদের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে ডাক না পেতেই মাহমুদউল্লাহ বুঝে যান জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে তার। মিছেমিছি বিশ্বকাপ খেলার ভাবনায় বুঁদ হয়ে থাকতে চাননি আর। জাতীয় দল নির্বাচক, কোচিং স্টাফ এবং বিসিবি কর্মকর্তাদের বিব্রতকর প্রশ্নের মুখে পড়া থেকে মুক্তি দিতেই কিনা হজ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন সিনিয়র এ ক্রিকেটার। বিসিবির চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার হওয়ায় ছুটি নিতে হচ্ছে তাকে। এটুকু আনুষ্ঠানিকতা না থাকলে বোর্ডের সঙ্গে সব দায় হয়তো চুকে যেত তার। সেদিক থেকে বলা যায় ভারত বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না রিয়াদের।
বৃহস্পতিবার মাহমুদউল্লাহ নিশ্চিত করেন, হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলেছেন। তবে ছুটির আবেদন জমা দিয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেলের কাছে জানতে চাওয়া হলে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ৩০ এপ্রিল তারা জানাতে পারবেন রিয়াদ ছুটি নিয়েছে কিনা।
মাহমুদউল্লাহ যে বিশ্বকাপ ভাবনায় নেই, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা থেকে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রিয়াদ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার অবশ্যই। বাংলাদেশ দলকে সে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। কিন্তু আমি যদি সত্যি বলি, যেহেতু ও জাতীয় দলে নেই, তাই তাকে বিশ্বকাপে দেখছি না। কারণ যদি তাকে বিশ্বকাপে দেখতাম এই সিরিজগুলোতে (আয়ারল্যান্ড) থাকত।’
যদিও কোচ চন্ডিকা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে বলেছিলেন মাহমুদউল্লাকে বাদ দেওয়া হয়নি। বিশ্বকাপ ভাবনা থেকেও মুছে ফেলা হয়নি তাকে। এগুলো যে কথার কথা তা বুঝতে বাকি নেই রিয়াদের। তাই তার পরিকল্পনা এখন ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে। জাতীয় দলের ভাবনা ভুলে আরও তিন বছর খেলে যেতে চান ঢাকা লিগ আর বিপিএলে।
খুলনা গেজেট/এনএম