সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জায়ামাতের দুইজন ইউপি চেয়ারম্যান ও একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৯ জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম ও বুড়িগোয়ালীনি ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম এবং সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী বাবুকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাশকতার মামলা থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্যামনগর থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিএনপির শ্যামনগর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি ও গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম, জামায়াত নেতা ও বুড়িগোয়ালীনি ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম এবং শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী বাবু।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নাশকতা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ মঙ্গলবার ভোর রাতে পৃথক অভিযানে কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, সদস্যসচিবসহ ৩ জন এবং জামায়াতের ৩ কর্মীকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র একাংশের আহবায়ক উপজেলার বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের মৃত শেখ মোক্তার হোসেনের ছেলে কুশুলিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম (৬১), উপজেলা বিএনপি’র সদস্যসচিব কুশুলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত শেখ মতিয়ার রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম বাবু (৫০), উপজেলা বিএনপির অপর গ্রুপের যুগ্ম আহবায়ক মুকুন্দমধুসুদনপুর গ্রামের আকবর আলী মোড়লের ছেলে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম (৪৪), জামায়াতে ইসলামীর কর্মী উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত শেখ নাছির উদ্দীনের ছেলে শেখ আব্দুল সাত্তার (৫০), নলতা ইউনিয়নের সেহারা গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে নিজাম উদ্দীন গাজী (৫৯) ও একই গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫৫)।
কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মিলন বিশ্বাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাশকতার পরিকল্পনাকালে মঙ্গলবার ভোর রাত ৪ টার দিকে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নকিব পান্নুর নেতৃত্বে পুলিশ কুশুলিয়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আটক করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন নেতা-কর্মী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮০/৯০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড