কৃষকের কাছ থোকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে সিন্ডিকেট করে কেজি হিসেবে অনেক বেশী দামে বিক্রি করছিলেন ব্যবসায়ীরা। অধিক মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের কারণে গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল তরমুজ ছিল সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বিষয়টি জানার পর তরমুজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার নলতা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আজাহার আলী।
এ সময় তিনি কৃষি বিপণন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৫ তরমুজ বিক্রেতাকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ভোক্তাধিকারের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর সোমবার দুপুরের দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তরমুজ কেজি দরে বিক্রি না করে পিস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এতেও দামের খুব বেশি তারতম্য হচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের আগে ৩৫ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল। সে সময় এক পিস বড় তরমুজের দাম পড়ছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। অভিযানের পর একই আকৃতির প্রতি পিস বড় তরমুজের দাম হাকানো হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা।
তরমুজ ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট ভাঙার কারণে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আজাহার আলীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আজহার আলী নলতায় অবস্থিত শতরূপা বস্ত্রালয়ে মূল্য তালিকা সঠিকভাবে প্রদর্শিত না হওয়ায় মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।