খুলনায় চিকিৎসককের মারধরের প্রতিবাদে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। বুধবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় কর্মবিরতির চলাকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন চিকিৎসকরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে সবিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. বাহারুল আলম বলেন, প্রতিবাদ আমাদের করার কোন প্রয়োজন ছিল না, কেন আমরা প্রতিবাদ করব ? ঘটনাটি ঘটিয়েছে পুলিশ, উপস্থিত ছিল পুলিশ। তারা নিজেরাই মামলা করতে পারতো। কেন ৪৮ ঘন্টায় মামলা নিল না, কি কারণে এমন। এর পরিণতি ভালো হয় না। আমরা আজ পূর্ণ দিবস কর্মসূচি পালন করছি। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে বিকালে বিএমএ’র বৈঠক করব। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এরপর আন্দোলন হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ বলেন, আমরা যে অবস্থানে দাড়িয়ে আছি সেখান থেকে পিছপা হওয়ার কোন জায়গা নেই। আমরা মারধর খেতে খেতে এমন অবস্থানে চলে গেছি, আমাদের দেওয়ালে পীঠ ঠেকে গেছে। এখন আমাদের বাঁচতে হবে। আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া যায় না। আমরা নিজেদের মতো কাজ করব। রোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি হাসপাতালে জরুরী চিকিৎসাসেবা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু বহির্বিভাগে আজকে কর্মসূচির কারণে বন্ধ থাকছে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ, , খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কেন একজন ডাক্তারের উপর হামলা হবে। হাসপাতালে চিকিৎসক আসে রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার দায়ভার চিকিৎসক কখনো নিবে না। চিকিৎসকরা যদি এভাবে মার খেতে থাকে তাহলে রাজপথে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিব। এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে। কর্মক্ষেত্রে যাতে আমরা চিকিৎসকের যোগ্য মর্যাদা নিয়ে নিরাপত্তা সহকারে কাজ করতে পারি সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
খুলনা গেজেট/এমএম