যশোর জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে আইনজীবী সমিতি। মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণের প্রতিবাদে বিশেষ জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন নেতৃবৃন্দ। একই সাথে আদালতের বিচারক আব্দুল হামিদের প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। তাদের এ দাবি না মানা পর্যন্ত ওই আদালতের বিচারিক কোন কার্যক্রমে আইনজীবীরা অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর ভবন মিলনায়নে বিশেষ সাধারণ সভা এবং এটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলমের মৃত্যুতে আলোচনা ও দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । সভায় সভাপত্বি করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম ইদ্রিস আলী।
সভায় আইনজীবী নেতারা জানান, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি এটর্নি জেনারেলের মৃত্যুতে আলোচনা সভা ও দোয়া মহফিলের আয়োজন করে। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী কর্মসূচির ব্যাপারে জেলা ও দায়রা জজকে অবহিত করতে হয়। এদিন সকালে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বে থাকা ১ম আদালতের বিচারককে সভার বিষয়টি অবহিত করার জন্য সাক্ষাতের অনুমতি চান। কিন্তু বিচারক তাদের সাথে সাক্ষাত করবেন না বলে পেশকারকে জানিয়ে দেন। বিষয়টি আইনজীবীদের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সমিতির বিশেষ সাধারণ সভার আহবান করা হয়।
এ সভায় সর্বসম্মতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক আব্দুল হামিদের আদালত বর্জন ও যশোর থেকে তাকে প্রত্যাহার করে না নেয়া পর্যন্ত এ বিচারিক আদালতের কোন কার্যক্রমে অংশ নেবেন না বলে আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নেন। একই সাথে বিচারক মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে এক আইনজীবীর লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।
সভায় মরহুম এটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলমের রূহের মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানানো হয়। শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আকতার কামাল।
সভায় বক্তৃতা করেন সিনিয়র আইনজীবী নজরুল ইসলাম, পিপি বাহাউদ্দিন ইকবাল, দেবাশীষ দাস, মাহাবুব আলম বাচ্চু, কাজী ফরিদুল ইসলাম, আবু মোর্ত্তজা ছোট, শাহানুর আলম শাহিন, আমিনুর রহমান, গাজী আব্দুল কাদির, আরএম মঈনুল হক খান ময়না, রুহিন বালুজ প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমএ গফুর।
খুলনা গেজেট/এনএম