বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রেমিক সাজিদ আহমেদ। গোপনে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণও করে সে। এরই মধ্যেই প্রেমিকা অন্তসত্বা হয়ে পড়লে বাধ সাধে প্রেমিক। বিয়ের জন্য চাপ দিলে শুরু করে টালবাহানাও। পরবর্তীতে কৌশলে প্রেমিকার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে দেয় সাজিদ। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রেমিকা। পরে বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে র্যাবের জালে গ্রেপ্তার হয় সাজিদ।
র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, রূপসা থানাধীন দেয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা সাজিদ আহম্মেদ হৃদয়। পূর্ব পরিচয় ছিল ভিকটিমের সাথে। বিয়ের প্রলোভন দেখানো হয় ওই ভিকটিমকে। পরবর্তীতে গত এক বছর ধরে বিয়ের কথা বলে সাজিদ তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। আসামি সাজিদ গোপনে কৌশল অবলম্বন করে তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের কিছু স্থির চিত্র ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। পরে এসব ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। দৈহিক মেলামেশার ফলে ওই ভিকটিম অন্তসত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। এরপর থেকে সাজিদ শুরু করে দেয় টালবাহানা। কৌশলে তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ৭ মাসের গর্ভের বাচ্চাকে নষ্ট করে দেয় সাজিদ।
এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই ভিকটিমকে পরিবারের সদস্যরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে সাজিদকে আসামি করে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি র্যাবের নজরে আসলে আসামি গ্রেপ্তারে র্যাব অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব ৬ এর অভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে এ মামলার আসামি গাজীপুর জেলার টঙ্গি পূর্ব থানা এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা র্যাবের সহায়তায় আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্র্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সব কিছু স্বীকার করে সে। পরে তাকে রূপসা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড