বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধে সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান নিহতের মামলায় থুইমং প্রু মারমা ও থুইনু মারমাকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা এবং খন্দকার দিলারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসময় হাইকোর্ট বলেন, বান্দরবানের বর্তমান পরিস্থিতিতে এ দুই আসামিকে জামিন দেয়া ঠিক হবে না।
হাইকোর্ট আরও বলেন, বেশ কিছুদিন বান্দরবানের পরিস্থিতি ভালো ছিল, হঠাৎ করে এখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর মামলা। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে এমন ঘটনায় জামিন দেবে না হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, গত বছরের ১৪ নভেম্বর এ মামলায় অন্য আরেক আসামির জামিন দেয় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হতে পারে।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের রুমা জোনের আওতাধীন রাইংক্ষ্যং এলাকায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর বান্দরবানের ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও রিজিয়ন সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের একটি দল বথিপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে- এমন গোপন তথ্য পাওয়া যায়। এ সংবাদের ভিত্তিতে রাইংক্ষ্যং লেক ক্যাম্পের জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি চালায়। এসময় সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালালে তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। অন্য সাত থেকে আটজন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর আক্রমণে টিকতে না পেরে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। সৈনিক ফিরোজ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি সাবমেশিনগান (এসএমজি), ২৭৫টি গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন, তিনটি গাদাবন্দুক, গাদাবন্দুকের পাঁচটি গুলি, চার জোড়া ইউনিফর্ম ও চাঁদাবাজির ৫২ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী স্থানীয় লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মূল দলের সদস্য বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি