ঢাকার গুলশানের একটি দোকান থেকে এমএফএসে টাকা পাঠানো নিয়ে ঝামেলার জেরে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মিন্টুসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন জানান, তাদের জামিন শুনানির জন্য আদালত মঙ্গলবার দিন রেখেছেন।
ওই ঘটনায় অস্ত্রধারী মিন্টুসহ তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। পরে গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়। বাকি দুই আসামি হলেন মোঃ আরিফ হোসেন ও আরিফের ভগ্নিপতি মনির আহমেদ।
রোববার বিকালে গুলশান শপিং সেন্টারের নিচ তলার একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছিলেন মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাসুদুর রহমান মনির।
ওই শপিং সেন্টারে আলফা জেনারেল স্টোর নামের একটি দোকান থেকে আরিফ হোসেন ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন। দোকানের মালিক হাবিবুর রহমান আলিম টাকা চাইলে ওই ব্যক্তি জানান, তার কাছে এত নগদ টাকা নেই। এ নিয়ে দুপুর থেকে বিতণ্ডা চলছিল।
এ নিয়ে ঝামেলার জেরে বিকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে ওয়াহিদ দোকানদারের ওপর চড়াও হন এবং এলোপাথাড়ি গুলি করার পর তিনি পাশের গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফেতে ঢুকে পড়েন। সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে, বলে মার্কেটের এক নিরপত্তাকর্মী জানিয়েছিলেন।
জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলিতে ভ্যানচালক আব্দুর রহিম মিয়া (৫০) এবং প্রাইভেট কার চালক মো. আমিনুল ইসলাম আহত হন। রহিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আমিনুলকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়।
পরে রাতে গুলিবদ্ধ আমিনুল গুলশান থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড