বাগেরহাটের চিতলমারীতে পথচারীদের দুর্দশা দূর করতে এক পড়ুয়া ছাত্র নিজের উদ্যোগে এক কিলোমিটার ভাঙাচোরা ইটের সলিং রাস্তার সংস্কার করছে। গত চারদিন ধরে সে ৭-৮ জন দিনমজুর সাথে নিয়ে এই কাজ করে যাচ্ছেন। এ কাজের জন্য সে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করেছে। সরদার আতিয়ার রহমান তুফান নামের ওই ছাত্র উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শৈলদাহ গ্রামের বেল্লাল সরদারের ছেলে। সে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র। তার এই মহতি উদ্যোগকে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হাকিম সরদার, আতিয়ার হাওলাদার ও মাওলানা লায়েকুজ্জামানসহ অনেকে জানান, উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শৈলদাহ-বাগানবাড়ি, কাননচক, ডোবাতলা, বাংলাবাজার, পুরানবাড়িসহ পাঁচ গ্রামে রাস্তাটি ১১ বছর আগে ইটের সলিং করা হয়। রাস্তা তৈরির দুই বছর পর ইটের সলিংয়ের বিভিন্ন স্থানে উঠে যায়। সেই হতে এই পর্যন্ত আর কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ভাঙা অংশে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণ শৈলদাহ, ডোবাতলা ও কাননচকসহ ৫-৬ গ্রামের প্রায় এক হাজার মানুষ চলাচল করে। তাই গ্রামবাসি ও পথচারিদের দূর্ভোগ দূর তাই তুফান সরদার নেমে পড়লেন রাস্তা সংস্কারের কাজে।
সরদার আতিয়ার রহমান তুফান জানান, গ্রামের মানুষ মানুষ ও পথচারীদের দূর্ভোগর কথা বিবেচনা করে গত ১০-১২ বছর আগে স্থানীয় মেম্বার এই রাস্তাটি ইটের সলিং করে দিয়েছিলেন। কয়েক বছরের মধ্যে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কিন্তু পরে এটি আর কখনো সংস্কার হয়নি। এখন গ্রামবাসী ও পথচারিদের দূর্ভোগের কথা ভেবে তাদের চলাচলের জন্য তিনি ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে কলাতলা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ জাকির হোসেনকে বারবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
তবে ওই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মোঃ কামাল হোসেন জানান, ভারী যানবহন চলাচলের কারণে রাস্তাটি বসে গেছে। জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করতে রাস্তাটিতে সরকারি ভাবে বরাদ্দ প্রয়োজন।
খুলনা গেজেট/এমএম