প্রবাদ আছে ‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়’। কয়েক বছর ধরেই এমন শীতের আশায় ছিল মানুষ; কিন্তু দেখা মিলছিল না। শীত কেন নেই- এই প্রশ্নই কেবল ঘুরপাক খেয়েছে মনে। আজ রোববার মাঘের শুরু হলেও এবার সেই মাঘের শীত শুরু হয়েছে পৌষ মাসের শুরু থেকে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ১৮ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবারও এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, ‘ভারত থেকে পশ্চিমা মেঘের প্রভাবে আজ রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ভারতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তার প্রভাবে আমাদের এখানেও তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময় বিক্ষিপ্তভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাতের ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ঢাকাতেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সময় তাপমাত্রা আরও কমে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।’
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, গতকাল বৃষ্টির সম্ভাবনা কেটে গেছে। দেশের মধ্যাঞ্চলের ভূ-পৃষ্ঠে কুয়াশার যে প্রভাব রয়েছিল তা কেটে উঠতে পারেনি ঊর্ধ্বাকাশে থাকা মেঘ। বঙ্গোপসাগর থেকে খুবই অল্প পরিমাণ জলীয়বাষ্প বাংলাদেশের স্থলভাগে প্রবেশ করছে। আজ সকালে নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তিনি বলেন, ১৮ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবারও এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
কাঁপছে পঞ্চগড় :গতকাল সারাদেশে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সকালে সূর্য উঁকি দিলেও সঙ্গে ছিল উত্তরের হাড়কাঁপানো হিমেল হাওয়া। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ, কৃষি শ্রমিক, দিনমজুররা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। শীত এবং হিমশীতল বাতাসের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হননি।