আমাদের দেশীয় ফলগুলোর মধ্যে কামরাঙা অন্যতম। টক স্বাদের এই ফল বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। কেউ কামরাঙা দিয়ে আচার বানিয়ে খান, কেউবা ভর্তা। যেভাবেই খান না কেন, পুষ্টিগুণ পাবেন সবভাবেই। পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধেও কাজ করে এটি। কামরাঙায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে। বিশেষ করে খাদ্যনালির ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কামরাঙা। এছাড়াও ভিটামিন বি নাইন ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর কামরাঙা। যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
এতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ আম, আঙুর, আনারসের চেয়েও বেশি। কামরাঙায় রয়েছে প্রচুর আয়রন। যা পাকা কাঁঠাল, কমলালেবু, পাকা পেঁপে, লিচু, ডাবের পানির চেয়েও অনেক বেশি।
এছাড়াও ভিটামিন বি ফাইভ ও ভিটামিন বি সিক্স প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কামরাঙায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কম করা এবং হাইপারটেনশন দূর করতে কামরাঙার জুড়ি মেলা ভার। তবে শুধু যে কামরাঙা ফলই নয়, কামরাঙা গাছের পাতাও কিন্তু খুবই উপকারী।
এতে থাকা এলাজিক অ্যাসিড খাদ্যনালির ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এর পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন। যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। সর্দিকাশিতে দারুণ উপকারী এই ফলের রস।
বমিভাব কমাতে এবং মানসিক প্রশান্তি দেয় এই ফলটি। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও অসাধারণ কাজ করে। চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত উজ্জ্বল করে কামরাঙা। মুখে ব্রণ হওয়া ঠেকায় এই ফল।
সতর্কতা
যারা কিডনির কিংবা আলসারের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে কিডনি ডায়ালিসিস করান। তারা একেবারেই কামরাঙা খাবেন না।
খুলনা গেজেট/এনএম