খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মার্কিন দূতাবাসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
  ধর্মকে কেন্দ্র করে দেশে এমন উন্মাদনা দেখতে চাই না : মির্জা ফখরুল

দেড়যুগ পর খুলনায় দুই পুলিশ হত্যায় বিস্ফোরক মামলার রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৩ সালের ১১ মার্চ। ওইদিন নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ের পরিবেশ অন্য দিনের মতোই ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার পর ওই এলাকা গরম হয়ে ওঠে। কয়েকটি বোমার বিকট শব্দে লোকজন দ্বিগবিদিক ছুটতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরেই জানা গেল দুর্বৃত্তের বোমা বিস্ফোরণে তিনজন পুলিশ সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তাদের একজনের কাছ থেকে সরকারি অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহত তিনজনের মধ্যে দু’জন পুলিশ সদস্য মারা যান।

শুরু হয় পুলিশের অভিযান। গণগ্রেপ্তার এড়াতে পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে পাওয়ার হাউস মোড় ও আশপাশের এলাকা। দীর্ঘ দেড়যুগ পর আলোচিত সেই হত্যাকান্ডের বোমা বিস্ফোরণ অংশের রায় ঘোষণা করা হবে। এ মামলার রায় দেবেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন।

ওইদিন দুর্বৃত্তের নিক্ষেপ করা বোমায় প্রাণ হারান পুলিশ সদস্য শরীফুল ইসলাম ও রমেশ চন্দ্র। পঙ্গুত্ব বরণ করেন মনিরুজ্জামান।

দুই পুলিশ হত্যাকন্ডের বোমা অংশের মামলায় ১০ আসামির মধ্যে একজন কারাগারে। তিন আসামি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। বাকিরা পলাতক।

আদালত সূত্র জানায়, পুলিশ সদস্য শরীফুল, রমেশচন্দ্র, নিজাম উদ্দিন ও মনিরুজ্জামান নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামানের পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অপর দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। তাদের অবস্থা মারাত্মক সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা রমেশ চন্দ্রের নামে সরকারি অস্ত্র শর্টগান ৯৭ মডেল ও ৭ রাউন্ড গুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তাদের মধ্যে শরীফুল ও রমেশচন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানার এস আই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলায় তিনজন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এস আই অরবিন্দু বিশ্বাস ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্র ভুক্ত আসামিরা হল, পূর্ববাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির খুলনা বিভাগীয় নেতা আব্দুর রশিদ মালিথা তপন, মাশিকুল ইসলাম মফিজ ওরফে নাসিম, শরীফুজ্জামান ওরফে সুমন ওরফে বাবু, মিলন, কামাল, বিপ্লব, শেখ শাহাদাৎ হোসেন ওরফে রাজু, আসাদুজ্জামান ওরফে টিটু ওরফে ছোট টিটু ওরফে টিকলু, একরাম হোসেন ও রফিকুল ইসলাম মিল্টন ওরফে রফিক। উল্লিখিত আসামিদের মধ্যে তিনজন পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তারা হল, আব্দুর রশিদ মালিথা তপন, মাশিকুল ইসলাম মফিজ ও সুমন। এদের মধ্যে শাহাদাৎ হোসেন রাজু কারাগারে আটক আছেন। বাকিরা পলাতক।

দীর্ঘ দেড়যুগ পর আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার।

খুলনা গেজেট/এসজেড/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!