খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সর্বস্তরে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে, নতুবা দেশের সর্বনাশ হবে।
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে আওয়ামী লীগের জয় সুনিশ্চিত করতে দলীয় নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের জন্য খুবই আন্তরিক। তিনি বলেন, কাউয়ামুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন করতে হবে, দলের মধ্যে কাউয়াদের তাড়াতে হবে। এরা বিপদে থাকেনা, ওরা সুবিধাবাদী, দলের বিপদ আসার আগেই ওরা চলে যাবে। তাই এদের থেকে সাবধান থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সম্মেলন ২৪ ডিসেম্বর-২০২২। সম্মেলন সফল করার লক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা আজ ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।
আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মোল্যা জালাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, পঞ্চানন বিশ্বাস, আব্দুস সালাম মুর্শিদি, আক্তারুজ্জামান বাবু, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বি এম এ ছালাম, মোস্তফা কামাল খোকন, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, রফিকুর রহমান রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, ইঞ্জিঃ প্রেম কুমার মন্ডল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান কালু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল প্রমুখ।
সভার সিদ্ধান্ত সমূহ
আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন আগামী ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার সকাল ১১ টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। উক্ত জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি করার দাবি করা হয়। জাতীয় সম্মেলনের পূর্বে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ হতে কাউন্সিলর ডিলিগেট ও মৃত ব্যক্তিদের নামের তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয় এবং কেন্দ্রের সকল নির্দেশনা মেনে জাতীয় সম্মেলন সফল করতে জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।