সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালী গ্রামের মাঠপাড়া এলাকায় ঘেটনা ঘটে। নিহত ওই গৃহবধু হলেন, শাপলা খাতুন। তিনি উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালী গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার আজগর আলী মিস্ত্রির ছেলে শাহীনের স্ত্রী।
পুুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন শিয়ালঘোনা গ্রামের মৃত আব্দুর রর সিদ্দিকের মেয়ে শাপলা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালী গ্রামের মাঠপাড়া এলাকায় আজগর আলী মিস্ত্রীর ছেলে শাহিনের। বিয়ের বছর পার না হতেই শাহিন যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রী শাপলার উপর প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। এরই জের ধরে সোমবার ভোর রাতে শাপলাকে মারপিট করার এক পর্যায় সে মারা যায়। পরে শাহিনের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার দেয়া হয়।
শাপলার শাশুড়ি বলেন, সোমবার সকালে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে শাপলাকে একটি বাঁশের আড়ায় ওড়নার সাথে মেঝেতে ঝুলে থাকতে দেখেন তিনি। তাকে ডাকা ডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ পায়নি। তখন তার কান্নার শব্দে গ্রামের মানুষ ছুটে আসে।
কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, কেউ শাপলাকে আড়ার সাথে ঝুলে থাকতে দেখেনি। তবে তার চোখের উপরে এবং ঠোঁটে রক্ত দেখা গিয়েছিল, মুখ ফৌলা ছিলো।
কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে যৌতুকের দাবিতে স্বামী শাহিন তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। এঘটনায় নিহতের ছোট বোন রাশিদা বাদি হয়ে শাপলা খাতুনের স্বামী, শশুর ও শাশুড়ির নামে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘাতক স্বামী শাহিনকে গ্রেপ্তার করেছে। ময়না তদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ তার বোনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।