খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভিসা আবেদনের জন্য মার্কিন দূতাবাসে গেছেন খালেদা জিয়া
  ধর্মকে কেন্দ্র করে দেশে এমন উন্মাদনা দেখতে চাই না : মির্জা ফখরুল

কে‌সি‌সির জায়গায় জেলা প‌রিষদ কর্তৃক মা‌র্কেট নির্মা‌ণের অ‌ভি‌যোগ, মেয়‌রের নি‌র্দেশে কাজ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাকবাংলা সদর মার্কেটের অভ্যন্তরে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে জায়গায় দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে কেসিসি আপার যশোর রোডে মার্কেটের ফাঁকাস্থানের প্রবেশ পথে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। রোববার (২০ নভেম্বর) কেসিসি মেয়রের নির্দেশে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: সামছুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, ডাকবাংলা সদর মার্কেটের ভেতর ১৮ শতাংশ জমির মালিক খুলনা সিটি কর্পোরেশন। পাশে বঙ্গবন্ধু কর্ণার নির্মাণ করা হয়েছে, তা নিয়ে কোন আপত্তি নেই। সেখানে পুরানো দ্বিতলা ভবন ভেঙ্গে জেলা পরিষদ কেসিসি’র সাথে কোন রকমের আলোচনা না করেই মার্কেট নির্মাণ শুরু করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, কেসিসি তার প্রাপ্ত অংশে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এ ঘটনার আগে সম্পত্তি শাখার কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে ফাঁকা স্থান মেপে তাদের জায়গা নির্ধারণ করে আসে। কিন্তু জেলা পরিষদ এ বিষয়ে কোন মিমাংসা করেনি। বরং শ্রমিক ও মিস্ত্রি লাগিয়ে দ্রুত কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। পরবর্তীতে কেসিসি মেয়রের নির্দেশে ডাকবাংলা মার্কেটের ফাঁকা স্থানে জেলা প‌রিষ‌দের নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দেন এবং প্রবেশ দ্বারে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী‌তে আলোচনা সাপেক্ষে সেখানে কাজ করতে দেওয়া হবে। সেখানে নির্মাণাধীন ৩৭ টি দোকানের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি উপস্থিত ব্যবসায়ীদের বলেন, যেহেতু ডাকবাংলা সদর মার্কেটের মালিকানা সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পরিষদের সেহেতু তাদের উভয়ের মিমাংসার ভিত্তিতে এখানে কাজ হবে। মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত এখানকার কাজ বন্ধ থাকবে। এই বলে তিনি ডাকবাংলা সদর মার্কেটের প্রবেশদ্বার তালা মেরে চলে আসেন।

কেসিসি’র সস্পত্তি শাখার কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ডাকবাংলা সদর মার্কেটের ফাঁকা স্থানে জেলা পরিষদ দোকান নির্মাণের কাজ করছিল। ওই মার্কেটের মধ্যে কেসিসি’র কয়েক শতাংশ জায়গা রয়েছে। তাদের পূর্বে জানানো হয়েছিল। জায়গা মেপে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদ তাদের কথায় কোন কর্ণপাত করেনি। প‌রে মার্কেটের আপার যশোর রোডের অংশের প্রবেশ স্থানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে ফোনটি কেটে দেন। কিন্তু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যবহৃত নম্বরে ফোন দিয়ে তাকেও পাওয়া যায়নি।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!