ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়নকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দেয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় শহরের আমতলা মোড়স্থ খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের উপর বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের বাঁধার মুখে তা পন্ড হয়ে যায়। পরে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের উপর বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিএনপি নেতা কর্মীরা।
জানা যায়, সাতক্ষীলা জেলা বিএনপি’র আহŸায়ক সৈযদ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় শহরের আমতলা মোড়স্থ খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের উপর বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের বাঁধার মুখে পড়েন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে সরে গিয়ে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের উপর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহŸায়ক হাবিবুর রহমান হবি, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শের আলী, সদস্য সচিব তাসকিন আহম্মেদ চিশতি, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. নুরুল হক, সদস্য সচিব নুরে আলম সিদ্দিকসহ জেলা বিএনপি’র জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
বিএনপি নেতারা এ সময় বলেন, ব্রহ্মনবাড়িয়ার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়নকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় শান্তি পূর্ণ বিক্ষোভ মিশিল শুরু করলে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ পরিকল্পিত ভাবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে আমাদের বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয়। এসময় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের উপর সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ জানান, বিএনপির কর্মসূচিতে কোন বাধা দেওয়া হয়নি। তবে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে দুই দলকে আলাদা আলাদা জায়গায় দূরত্ব বজায় রেখে কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়।