সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে মাদক বিরোধী অভিযানে অটক ২৬ যুবকের মধ্যে ডোপ টেষ্টে ১৫ জনের শরীরে মাদকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। পুলিশ আটক ওই যুবকদের সাথে নিয়ে মাদক বিক্রেতাদের ধরতে অভিযান অব্যহত রেখেছে ।
পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার বিকালে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এর নির্দেশনা কলারোয়া থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে কলারোয়া থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ এবং পুলিশ লাইন্স এর চৌকস সদস্যেদের সমন্বয়ে গঠিত টিম এই অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয় মেডিকেল অফিসার জয়ন্ত সরকার, পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) মোঃ আজিজুর রহমান ও কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র আরো জানায়, সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন থানা, পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর ও খুলনার মাদক সেবীরা কলারোয়া থানার সীমান্তবর্তী এলাকা কেড়াগাছী, সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুরসহ জালালাবাদ ও ঝিকড়া এলাকায় এসে মাদক সেবন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বাহ্যিক লক্ষণ বিবেচনায় এবং উপস্থিত ডাক্তারের পরামর্শে মাদকসেবী সন্দেহে ২৬জনকে আটক করা হয়। পরে ডোপ টেস্টের জন্য রাতে তাদের নেয়া হয় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ডোপ টেস্ট শেষে আটক ১৫ জনের ক্ষেত্রে রিপোর্ট পজিটিভ এবং ১১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। মাদকাসক্ত প্রমাণিত ১৫ জনের কাছে যে সকল মাদক ব্যবসায়ী মাদক বিক্রি করেছিল তাদেরকে শনাক্তের কাজ চলছে।
কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদকসেবী প্রমাণিত ১৫ জনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত মাদক সেবীদেরকে কারাগারে পাঠনো হবে।
খুলনা গেজেট/এআইএন