খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশের আগে কয়রা উপজেলা থেকে খুলনাগামী বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই সমাবেশে যোগ দিতে বিকল্প নৌপথে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার যোগে খুলনায় যাচ্ছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এর মধ্যে অনেকেই ইজিবাইক বা মোটরসাইকেলে ভেঙে ভেঙে খুলনায় পৌছে গেছেন।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভোর থেকে জেলা পরিবহন মালিক সমিতির ধর্মঘটে কয়রা উপজেলা থেকে কোন বাস জেলা শহরে ছেড়ে যায়নি। সেই সাথে নৌপরিবহন ও ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সকল নৌ ও সড়ক পথে জেলা শহরের যোগাযোগ বন্ধ থাকায়। জেলা বিএনপি গণসমাবেশ সফল করতে শুক্রবার রাতে কয়রা উপজেলা থেকে নৌপথে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার যোগে রওনা দিয়েছে কয়রা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, সকল প্রকার পরিবহণ ও লঞ্চ বন্ধ থাকায় আমরা রাতের অন্ধকারে ট্রলার যোগে রওনা দিয়েছি। আমাদের পথে অনেক বাঁধ আছে সকল বাধা উপেক্ষা করে শনিবার সমাবেশে যোগ দিব। কারণ দেশে দ্রব্য মূল্যের উদ্ধগতি ও গুমের প্রতিবাদে আমরা যোগ দিব।
কয়রা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মিছিলে, দ্রব্য মূল্যের উদ্ধগতি এবং সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর সরকারের নির্যাতনের প্রতিবাদে শনিবারের মহা সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য সরকার সকল প্রকার যানবাহন ও লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারি দলের নেতা কর্মীরা আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে এবং প্রশাসন দিয়ে বাঁধা দিচ্ছে। সকল বাঁধা উপেক্ষা করে কয়রা উপজেলা বিএনপি কর্মীরা রাতের আধারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার যোগে রওনা হয়েছে।