খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল আমাদের অন্তরে বেঁচে থাকবে চিরদিন। খুনিরা তাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ওদের সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। রাসেল আজ বাংলার শিশু-কিশোর-তরুণদের ভালবাসার নাম। নির্যাতিত-নিপীড়িত-লাঞ্ছিত শিশুদের প্রতীক হয়ে গ্রাম বাংলার প্রতিটি লোকালয়ে রাসেল আজ ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন শেখ রাসেল আজ আবর্তিত হয়েছে সকল শিশুদের উপর নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার প্রতীকী প্রতিবাদ হিসাবে। শেখ রাসেল দুনিয়ার সকল নির্যাতিত, নিপীড়িত শিশুর প্রতিচ্ছবি হয়ে আজ আত্মপ্রকাশ করেছে। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়–ক শেখ রাসেলের মর্ম। শেখ রাসেলের চারিত্রিক গুণাবলি ও তাঁর নামের তাৎপর্য অনুধাবন করে বাংলার প্রত্যেক যুবক-যুবতি প্রগতিশীল যুবসমাজ হিসাবে আতপ্রকাশ করুক, এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
মঙ্গলবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে শেখ রাসেলের ৫৯তম জনদিন উপলক্ষে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, এ্যাড. রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বি এম এ ছালাম, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, রফিকুর রহমান রিপন, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, সরদার আবু সালেহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আলমগীর কবির, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, মোস্তাফিজুরর রহমান কালু, শ্রীমন্তি অধিকারী রাহুল, এম এ রিয়াজ কচি, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, হালিমা ইসলাম, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, মোজাফফর মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান বাবলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, ননী গোপাল মন্ডল, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, অসিত বরণ বিশ্বাস, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, ফারহানা হালিম, শিউলি সারোওয়ার, ফারজানা নিশি, মো. আজগর বিশ্বাস তারা, মো. জামিল খান, এস এম আকিল উদ্দিন, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন, রনজিত কুমার ঘোষ, হোসনে আরা চম্পা, নাজনিন নাহানর কণা, অধ্যা. আশরাফুজ্জামান বাবলু, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মানিকুজ্জামান অশোক, সফিকুর রহমান পলাশ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, কাজি আসাদুর রহমান হিরক, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, মো. পারভেজ হাওলাদার, মো. ইমরান হোসেন, বাদল সরদার বাবুল, এ্যাড. ফারুক হোসেন, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. আযম খান, মো. ফায়েজুল ইসলাম টিটো, মো. সিহাব উদ্দিন, সরদার আব্দুল হালিম, মীর মো. লিটনসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেলের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া শেষে কেক কাটা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও হাফেজ আব্দুর রহিম।