নিখোঁজের চারদিন পর পুলিশ সদস্যের মাতা নীহারিকা হালদার (৭০) নামের এক বৃদ্ধার অর্ধগলিত মরদেহ বাড়ীর ট্রাঙ্ক থেকে উদ্ধারের পর ক্লু জানতে তৎপরতা শুরু করেছে বাগেরহাট জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। রামপাল থানা পুলিশ নিহতের লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাটের মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহতের বাড়ি উপজেলার ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের বেতকাটা গ্রামে। তিনি মৃত ক্ষিতীশ হালদারের স্ত্রী। গত শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ হন। ওইদিন একই গ্রামে তার মেয়ে রাধিকার বাড়িতে বেড়াতে যান। এরপর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে তাকে সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় দরজায় তালাবদ্ধ আবস্থাতে ঘরের ট্রাঙ্কের ভেতরে পাওয়া যায়।
রামপাল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন জানান, ওই বৃদ্ধার বেশকিছু গচ্ছিত টাকা রয়েছে বলে শোনা যায়। তার পুত্র বাবলু হালদার পুলিশে চাকরি করেন। আমাদের বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লু বের করা সম্ভব হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় অভিযোগ পত্র দাখিল করেনি। কি কারণে ও কেন ওই বৃদ্ধাকে হত্যা করে তার নিজ ঘরের ট্রাঙ্কের ভেতরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/এসজেড