পিতার রেখে যাওয়া সামান্য জমি থাকলেও নেই ঘর বানানোর মতো সামর্থ। আর তাই অর্থাভাবে বাধ্য হয়েই স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নারকেল পাতার ছাউনির জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন খুলনার পাইকগাছার একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন আবুল হাসান। সর্বশেষ এমন পরিস্থিতে বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন হতদরিদ্র আবুল হাসানের পরিবার।
আবুল হাসান (৫৫)। পিতা কান্তা মিস্ত্রী। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির আগড়ঘাটা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও সিলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
হতদরিদ্র আবুল হোসেন জানান, স্ত্রী, কন্যা,পুত্র সহ ৪ সদস্যের পরিবার তার। পেশায় স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন তিনি। সামান্য আয়ে কোন রকম খেয়ে না খেয়েই কাটে তাদের দিন। নতুন করে ঘর নির্মাণতো দূরের কথা বর্তমানে নারকেল পাতার ছাউনির জরাজীর্ণ ঘরটির মেরামতের সামর্থ নেই তার। দীর্ঘদিন অর্থাভাবে ঘরটির মেরামতের কাজ না করাতে পারায় এক প্রকার বসবাসের অযোগ্য ঘরটিতেই বাধ্য হয়ে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। তবে একটু বৃষ্টি হলেই স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসে থাকতে হয় তাকে। তার উপর রয়েছে একমাত্র ঘরটির মাটির দেওয়াল ভেঙে নিজেরা চাপা পড়ার ভয়।
সর্বশেষ এমন পরিস্থিতে সমাজের বিত্তবানদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এব্যাপারে কপিলমুনির ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, তিনি সহায়তার চেষ্টা করবেন। আর আবুল হোসেন অত্যন্ত সৎ প্রকৃতির মানুষ। তবে এটাও সত্য সে অত্যন্ত দরিদ্র। তার বসত ঘরটি নির্মানের জন্য সমাজের সর্বোস্তরের মানুষকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, আবুল হোসেনের ব্যাপারে তিনি শুনেছেন। তবে বর্তমানে তেমন কোন বাজেট না থাকলেও বিকল্প ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।