নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের নিরপেক্ষতা জনগণের কাছে দৃশ্যমান করতে ছয় বাহিনী নিয়োগ করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন এসব বাহিনী উপকূল এলাকা, নৌপথ, সড়ক পথে টহল ও বৈধ অস্ত্র বহন বন্ধ করবে। নির্বাচনের আগের দিন থেকে জেলা সদরে এক প্লাটুন ফোর্স রিজার্ভ থাকবে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে এগারোটি জেলার মধ্যে খুলনাকে গুরুত্বপূর্ণ ভেবে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছেন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা হচ্ছেন- মোহাম্মাদ আল-আমীন (খুলনা নগর ও রূপসা উপজেলা), মোহাম্মাদ কামাল হোসেন (বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া ও দাকোপ উপজেলা), এ. এম আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ (পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা) এবং মাছমুদুর রহমান (ফুলতলা, দিঘলিয়া ও তেরখাদা উপজেলা)।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ১৮ অক্টোবর দায়িত্ব পালন করবেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমান সংক্ষিপ্ত বিচার আদালত গঠন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আকতার হোসেন ১০ অক্টোবর খুলনা রিটার্নিং অফিসারকে মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা সম্পর্কে অবহিত করেন।
মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এফ. এম. তৈহিদুল আলম পরিপত্রে উল্লেখ করেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন অফিসারের নেতৃত্বে মোট তিনজন স্বশস্ত্র পুলিশ, তিনজন অস্ত্রধারী আনসার ও লাঠিধারী একজন করে পুরুষ ও একজন করে মহিলা আনসার দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট কেন্দ্রের গুরুত্ব অনুসারে ফোর্সের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজিবি সীমান্ত এলাকায় অবৈধ প্রবেশ নিষেধ, উপকূলীয় এলাকায় টহল করবে। কোস্ট গার্ড ও ব্যাটালিয়ান আনসার আইন-শৃঙ্খলা দায়িত্ব নিয়োজিত থাকবে। র্যাব নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও রিটার্নিং অফিসারকে সহায়তা করবে। পুলিশ ও আনসার ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবে।
জেলার ১০ টি ভোট কেন্দ্রে ১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৪০ জন পোলিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন। ভোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। ভোটার সংখ্যা ৯৭৮ জন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী সমর্থিত শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস.এম. মোর্তজা রশীদী দ্বারা ও বিএমএ, খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।