ভালো দাম না পাওয়া হতাশ হয়ে পড়েছেন খুলনার তেরখাদা উপজেলায় শসা চাষীরা। খুলনার বাজারে ৫০/৬০ টাকা শসা বিক্রি হলেও ডুমুরিয়ার কৃষকদের বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ১২ টাকা কেজি দরে।
কৃষকরা জানান, গতবছর ভালো দাম পেয়ে এ বছর শসা চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন ডুমুরিয়ার কৃষকরা। এ বছর ডুমুরিয়ার ১৮০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো বেশি। কিন্তু দাম নিয়ে হতাশ কৃষকরা। ১২ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করছেন তারা।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে বিপুল পরিমাণ শসার চাষ হয়েছে। প্রতিদিন আজগড়া, সাচিয়াদাহ, ছাগলাদাহ, মধুপুর, তেরখাদা সদর ইউনিয়নসহ আশপাশের বাজার থেকে বিভিন্ন জায়গার বেপারিরা এসে শসা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। শসার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজিও কিনছেন তারা। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন, এবার শসার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। পাইকারিতে ১২ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করছেন। এতে তাদের লাভ হচ্ছে না।
তেরখাদা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তেরখাদায় ১৮০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ হয়েছে এবং প্রায় ৩ হাজার ৪০০ মে. টন ফলন হবে বলে আশা করছেন।
উপজেলার বারাসাত ইউনিয়নের ভূজনীয়া এলাকার শিমুল বালা বলেন, তিন বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছি। প্রতিদিন ছয়-সাত মণ শসা বিক্রি করছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু দাম পাচ্ছি না। ৫০০ টাকা মণ দরে শসা বিক্রি করতে হয়। এতো কষ্ট করেও লাভ হচ্ছে না। অথচ বাজারে শসার কেজি ৪০ টাকা।
আজগড়া এলাকার কৃষক পিযুস বিশ্বাস বলেন, এ বছর ২০ বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছি। অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রতিদিন ৭০-৮০ মণের ওপরে শসা বিক্রি করছি। এ বছর শসার দাম কম হওয়ায় লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় এ বছর শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। অতিরিক্ত খরার জন্য শসা চাষে কৃষকদের বাড়তি খরচ হয়েছে। আশা করছি চলতি বছর উপজেলায় ৩ হাজার মে.টনের বেশি শসা উৎপাদন হবে। সরাসরি ব্যবসায়ীদের কাছে শসা বিক্রি করতে পারছেন কৃষকরা। দাম কম হওয়ায় লাভ কম হচ্ছে কৃষকদের।
খুলনা গেজেট/েএইচ