ঘেরে মাছ ও পাড়ে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কৃষকেরা। তেরখাদা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের তিন সহস্রাধিক ঘেরে এই চাষাবাদ করছেন তারা। এসব ঘের পাড় এখন সবুজে ছেয়ে গেছে।
তেরখাদা উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘেরের পাড়ে লতা পাতার মধ্যে ঝুলছে লাউ, শশা, উচ্ছে, চিচিংগা, টমেটো, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, এমনকি তরমুজও। সেই সঙ্গে ঘেরের বেড়ি (পাড়) ধরে বেয়ে চলেছে পুইশাখের ডগা। গাছ ভরে ধরেছে ধেড়স। এমন দৃশ্য ঘের অধ্যুসিত এলাকায় ঘেরের বেড়িতে বাঁশ-খুঁটি ও নেটের জাল দিয়ে মাচা বানিয়ে তাতে সোনার ফসল ফলিয়েছেন চাষীরা। যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।
একরের পর একর মাছের ঘেরের পাড়ে উৎপাদিত এসব শাখ, সবজি উপজেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঘেরের পানিতে মাছ চাষ আর পাড়ে সবজি চাষ করে এসব এলাকার কৃষকেরা এখন স্বাবলম্বী। যদিও চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে যেমন মৎস্য চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছ, তেমনি ঘেরের বেড়িতে শাখ সবজির চাষও ব্যহত হচ্ছে।
আজগড়া এলাকার শংকর বিশ্বাস, রবি বিশ্বাস, সুজিত মালী, আলী গাজী বলেন, সবজি চাষ করে এলাকার কৃষকেরা ভালোই আছেন। সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন তারা।
আজগড়া ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ মেনন রায় বলেন, ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলোতে শুধু ঘের আর ঘের। বিশেষ করে আমার ইউনিয়নের ১০ হাজার লোকের বাস। তাদের মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষই ঘেরে মাছ ও ঘের পাড়ে সবজি চাষ করে। আর এসব ঘের পাড়ে সবজি চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে ভালো আছেন। তারা তাদের ভাগ্য বদলে হয়েছেন স্বাবলম্বী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘের পাড়ে উৎপাদিত লাউ, উচ্ছে ও টমেটো ইতোমধ্যে উপজলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হচ্ছে। কৃষকেরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। এসব নিম্নাঞ্চলের মানুষের আয়ের একটা বিশাল অংশই সবজি চাষ থেকে আসে। তাছাড়া এই এলাকার সবজি জেলা শহরের সবজির চাহিদাও মিটিয়ে থাকে।
খুলনা গেজেট/এসজেড