বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ বছর ধরে অচল এক্সরে মেশিন। ৭ বছর ধরে নেই প্যাথলজিষ্ট (মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ল্যাব)। গুরুত্বপূর্ন এ টেকনোলজিষ্ট না থাকায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
জানাগেছে, এ উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের বসবাস। সরকারিভাবে স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বিনামূল্যে ওষুধপত্রসহ বিভিন্ন বরাদ্দ, থাকলেও প্রয়োজনীয় জনবল সংকট, টেকনিক্যাল যন্ত্রাংশ অকেজোর কারনে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। হাসপাতালের সামনে গড়ে উঠেছে একাধিক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ডায়াগনষ্টিক সেন্টার সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য পাঠাচ্ছেন রোগীদের।
হাসপাতালে গিয়ে এক্সরে ও পরীক্ষা-নিরিক্ষা না পেয়ে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বেশী অর্থ খরচ করে পরীক্ষা করাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে রোগীদের। নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ ব্যায় বহুল অর্থের জোগান দিতে না পেরে অনেকেই করাতে পারছে না পরীক্ষা-নিরিক্ষা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি বরাদ্দে ব্যায় বহুল অর্থের এক্সরে মেশিনটি রুম সংকটের কারনে দীর্ঘদিন ব্যবহার হচ্ছে না। যদিও এ পদে শফিকুল ইসলাম মিঠু নামে একজন কর্মরত থাকলেও আসছে কোন কাজে।
২০১৫ সালের পর থেকে অধ্যবদি পর্যন্ত প্যাথলজিষ্ট (মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ল্যাব) পদটি শূন্য থাকায় বন্ধ রয়েছে পরীক্ষা নিরিক্ষা। ২০২০ সালে এ পদে একজন যোগদান করলেও ৬ মাস যেতে না যেতেই অন্যত্র চলে যায়।
এ সর্ম্পকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় বলেন, তিনি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পূর্ব থেকেই এক্সরে মেশিনটি অচল। যে রুমে মেশিনটি ছিলো সে রুমে পানি পরার কারনে সরিয়ে আনা হয়েছে। নতুন রুমের বরাদ্দের জন্য ইতোমধ্যে ইঞ্জিনিয়ার এসে পরিমাপ করেছেন। রুম নির্মাণ হলেই সচল হবে এক্সরে মেশিনটি। প্যাথলজিষ্ট পদটি দীর্ঘদিন শূন্য থাকার বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।