দেশের অন্যতম সমুদ্র বন্দর মোংলাকে আরও গতিশীল করতে মোংলা বন্দরের ইনারবার ড্রেজিং কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ জাহিদ হোসেন।
খুলনা গেজেটকে তিনি বলেন, একসময় লাভজনক মোংলা বন্দর ২০০২-২০০৩ অর্থ বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ অর্থ বছর অবধি একটি লোকসানি বন্দরে পরিণত হয়। ফলে বন্দর সংশ্লিষ্ট মানুষের বিরাট অংশ কর্মহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর এই বন্দর উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়া হয় এবং বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ফলে মোংলা বন্দরে আবারও প্রাণ ফিরে আসে এবং এটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এই বন্দর দিয়ে এখন রিকন্ডিশন গাড়ী আমদানি সহ অনেক পন্য আমদানি ও রফতানি বেড়েছে।
সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, দিন দিন মোংলা বন্দরের রাজস্ব যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি সরকারও বন্দর উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে বন্দর আউটার বার ড্রেজিং কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ফলে ৯.৫ মিটার ড্রাফট-এর জাহাজ আগমন করতে পারছে। প্রথম বারের মত এই বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস রফতানি হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বন্দরের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এই বন্দর দেশী বিদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সেজন্য ইনারবার ড্রেজিং কাজ যথাযথভাবে করা না গেলে মোংলা বন্দর অচল হবে। এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইপিজেড, খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্প ও মোংলা ইকোনমিক জোন তার কার্যকারিতা হারাবে।