বাগেরহাটের কচুয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার প্রধান আসামী মহিউদ্দীন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মহিউদ্দীন ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আসামী করে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করে।
সোমবার সকালে জেলা হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহামুদ হাসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনান্থল পরিদর্শন করে এবং তদন্ত কাজ শুরু করে। রাতে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মহিউদ্দীন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কচুয়ার উপজেলার দোবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুরের কিশোরী মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশি সখী বেগম। এরপর তার সহযোগিতায় স্বামী মহিউদ্দিন হাওলাদার ধর্ষন করে এবং ভিডিও ধারন করে। পরে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়। পুনরায় সেখান থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে একটি বাসায় আটকে রেখে তিন জনে ধর্ষণ করে। অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপরে থানা পুলিশের কোন সহায়তা পায়নি নির্যাতিত ওই পরিবারটি। এঘটনার দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবি জানায় এলাকাবাসি।