দিনে ও রাতে ঘন্টায় ঘন্টায় দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং। এতে করে বৃদ্ধ ও শিশুরা পড়েছে সমস্যায়। প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন মানুষজন। জ্বালানী সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় লোডশেডিং করার কথা জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের থেকে আগেই প্রচার করা হয়েছে। লোডশেডিং নিয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে বিদ্যুৎ অফিস চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছেন বলে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন।
লোডশেডিং এর পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল থাকার পরেও কেন সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে না এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোছাঃ শাহীন আখতার পারভীন জানান, ৫২৫ মে.ও. বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি ৪৮৫ মে.ও. । সিডিউল বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি, তাহলে সিডিউল কীভাবে মেনে চলা যাবে? এদিকে লোড শেডিং শুরু হওয়ার পর থেকেই লক্ষ্য করা গেছে যে ওজোপাডিকো এর ওয়েব সাইটে প্রকাশিত লোডশেডিং শিডিউল নিয়ন্ত্রণ গুলো মানছেনা। কোন কোন ফিডারে চব্বিশ ঘন্টায় ৮/৯ বার পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে। এক ঘণ্টা নয়, কোন কোন দিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে।
ওজোপাডিকো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ পেয়ে আমরা কী করে সবাইকে একই সাথে বিদ্যুৎ দেব? তাহলে এমন মনগড়া সিডিউলের দরকার আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বাস্তবতার সাথে ঐ সিডিউলের কোন মিল নেই, আমরা এলডিসির পরামর্শ মতেই লোডশেডিং বরাদ্ধ করি। একারণেই সেটা মানা সম্ভব হচ্ছেনা।
সংকটকালীন সময়ে লোডশেডিং মেনে নিতে গ্রাহকদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু লোক দেখানো সিডিউল তৈরি করে ইচ্ছেমত কোন কোন ফিডারে অস্বাভাবিক লোডশেডিং চাপিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত কোন মতেই মেনে নিতে পারছেন না গ্রাহকরা। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ না পেয়ে ফুঁসে উঠছে মানুষ। শিক্ষর্থীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। সচল রাখা যাচ্ছে না ছোট-বড় কল-কারখানা। চরম ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। তারা অবিলম্বে ওজোপাডিকো এর লোডশেডিং সিডিউল যথাযথ অনুসরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।