সাতক্ষীরা শ্যামনগরের গাবুরায় মধ্যরাতে এক মহিলাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (২৪ জুলাই) ভোররাত রাত ১টার দিকে গাবুরার ৯নং সোরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম তাসকিয়া খাতুন (৩২)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের খালেক গাজীর ছেলে ইসমাইল গাজীর স্ত্রী।
নিহতের মেঝো জা পারুল জানান, নিহত নারী তাসকিয়া খাতুন তার সেজো দেবরের স্ত্রী। সংসারে অভাব অনাটনের কারণে আমার দেবর বিভন্ন জেলায় দিন মজুরের কাজ করেন, এমনকি ঢাকায় রিক্সা চালাতেও যান। তার দুই ছেলে আছে। বড় ছেলেটা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলের বয়স তিন বছর।
তিনি আরো জানান, রাত ১টার দিকে তাসকিয়ার দুই ছেলে ঘরের মধ্যে অনেক সময় ধরে কান্নাকাটি করছিল। তাই শুনে আমি ওদের ঘরে গিয়ে দেখি তাসকিয়া ঘরে নেই। ছেলে দুটি খাটের উপর বসে কাঁদছে। তিনি জানান, এমন সময় আমার স্বামী ও বড় ভাসুর আমাকে বলেন তাসকিয়া বাথরুমে গেছে কি’না দেখতে। কিন্তু বাথরুমে না পেয়ে হঠাৎ বাড়ির বাইরে লাইট মারতেই দেখি তাসকিয়া বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সাথে সাথে আমি চিৎকার দিয়ে আমার স্বামী ও ভাসুরকে ডাকি। তার বড় ভাসুর তাসকিয়ার অবস্থা দেখেই বলে ওঠেন এটা সাহেবের কাজ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে একই গ্রামের সোলায়মান খার ছেলে সাহেব আলী (২৫) অনেকদিন ধরে তাকে অনৈতিক প্রস্তাবে দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
সূত্র আরও জানায়, ইসমাইল একজন সহজ-সরল ও ভালো মানুষ। তার সরলতার সুযোগ ও ইসমাইল এবং সাহেব আলীর শশুর বাড়ী একই এলাকায় হওয়ায় সাহেব আলী প্রায়ই ইসমাইলের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। কয়েক দিন আগে সাহেব আলীর স্ত্রী সন্তান বাপের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ঘটনার পর থেকে সাহেব আলী পালাতক রয়েছ।
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাহেব আলীর মা ফাতেমা বেগম কে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, হত্যার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ করছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই