গোপালগেঞ্জর মুকসুদপুরে অগ্নিকান্ডে ৬ দোকান ভষ্মিভূত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবী করেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার গেড়াখোলা বাজারে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিস।
এসময় নিজ দোকানের মালামাল নিরাপদ স্থানে নিতে গিয়ে বাবলু লষ্কর (৫৫) নামে এক মুদি দোকানদার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে।
মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন মাষ্টার সজিবুর রহমান জানান, রাত তিনটার দিকে আমরা অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অগ্নিকান্ডের সঠিক কারন জানা যাবে।
জানাযায়, ৩ টার দিকে আগুনের সুত্রপাত হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাজারের ষ্টুডিও দোকানে ঘুমিয়ে থাকা অনিক মজুমদার বের হয়ে চিৎকার দিলে চার দিকের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় বাবলু লস্করের মুদি দোকান, গৌতম মজুমদারের স্টুডিও, বশিষ্ট চক্রবতীর কাপড়ের দোকান, সাদ্দাম মিয়ার কম্পিউটারের দোকান, বাবুল মোল্লার কসমেটিক্সের দোকান, গোপিনাথের মুদি দোকান ভষ্মিভূত হয়।
বাজারের ব্যবসায়ি হাসান লস্কর জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে সবাই আগুন নিভাতে আসে। এই সময় মুদি দোকানদার বাবলু লস্কর তার মালামাল নিরাপদ স্থানে নেয়ার চেষ্টা করে। একাধিকবার আগুনের মধ্য থেকে মালামাল নেওয়ার পরে পা পিছলে আগুনের মধ্যে পড়ে যায়। উদ্ধার কারিরা তাকে আগুন থেকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে আনলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মুকসুদপুর হাসপাতালের টিএইচও ডাক্তার রায়হান ইসলাম শোভন জানান, তাকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে৷ তার শরীরে কোন আগুনে পোড়ার চিহ্ন পাওয়া যায়নি৷ ধারনা করো হচ্ছে তিনি ষ্ট্রোক করে মারা গেছেন৷
খুলনা গেজেট/ এস আই